কুষ্টিয়া জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা গতকাল জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন। সভায় জেলা পরিষদের অর্থায়নে ১০ হাজার পুষ্টি ক্যালেন্ডার উপহার দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম। এ সময় ক্যালেন্ডার উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়া জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম ও সভাপতি জেলা প্রাশাসক মো. আসলাম হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডাঃ রওশন আরা বেগম, কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার হাজী রফিকুল আলম টুকু, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব-কেপিসি’র সভাপতি আলহাজ¦ রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। কুষ্টিয়া জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির প্রথম সভায় কমিটির সকলে এই জেলার জন্য ১০ হাজার পুষ্টি ক্যালেন্ডার দাবী করেছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট। সেদিন তিনি হাসিমুখে সকলের এই দাবী সাদরে গ্রহন করেন। সভা শেষে অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন ১০ হাজার ক্যালেন্ডার মুখের কথা? রাজনীতিবিদরা এমন প্রতিশ্রুতি অনেকেই দেন কিন্তু তা পুরণ করে ক’জন। সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভায় ১০ হাজার কালারফুল পুষ্টি ক্যালেন্ডার নিয়ে হাজির জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম। উপস্থিত সকল সদস্য সে সময় আসন থেকে দাঁড়িয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলামকে শুভেচ্ছা ও অভিবাদন জানান। এ সময় অনেককেই বলতে শোনা গেছে, কথা রেখেছেন হাজী রবিউল ইসলাম। গতানুগতিক রজনীতিকদের থেকে ব্যতিক্রম তিনি। যাকে যে কথা দেন, যেখানে যে প্রতিশ্রুতি দেন তা সাধ্যমত রক্ষা করেন। যে কারনে তিনি জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি’র আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন গণমানুষের।

কুষ্টিয়া একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা হলেও এই জেলায় ছিলো না কোন পুষ্টি ক্যালেন্ডার। নতুন প্রজন্ম রোগ-জীবানু আর পুষ্টিহীনতায় বেড়ে উঠতে পারে না। বেড়ে উঠলেও বড় হতে পারে না। সুন্দর আগামীর জন্য, সুস্থ-সবল জাতি গঠনে পুষ্টি ক্যালেন্ডারের বিকল্প নেই। ১২ মাসের এবং ৬ ঋতুর সাথে মিল রেখে কোন সময় কোন ফল-মুল, শাক-সব্জী, খাবার গ্রহন করবে সেই সকল তথ্য সমৃদ্ধ ঢাকা থেকে উন্নত ও আধুনিক ছাপা যা শিশুদের দৃষ্টি কাড়বে। ব্যায়বহুল এবং দৃষ্টিনন্দন এই পুষ্টি ক্যালেন্ডার যুগ যুগ ধরে সংরক্ষণ করা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *