অনলাইন ডেস্ক : ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্বব্যাপী নামিয়ে এনেছে মহাবিপর্যয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৯৬টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। কেড়ে নিয়েছে ২০ হাজার ৪৯৪ জনের প্রাণ।
এছাড়া বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে এখ্ন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ৫২ হাজার ১৬৮ জন।
চীনে তাণ্ডব চালিয়ে প্রাণঘাতী এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে ইউরোপের দেশ ইতালিকে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৭৪ হাজার ৩৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ২১০ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫০৩ জনে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এশিয়ার দেশ ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
বর্তমানে ভারতে করোনা সংক্রমণ যেভাবে ছড়িয়েছে সেই ধারা বজায় থাকলে মে মাসের মাঝামাঝি আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ থেকে ১৩ লাখ পর্যন্ত হতে পারে! দিন দশেক আগের তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করল আন্তর্জাতিক গবেষক দল।
দিল্লির স্কুল অব ইকনমিক্স, আমেরিকার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়, জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির নানা শাখার গবেষকদের মিলিয়ে তৈরি হয় কোভ-ইন্ড-১৯ স্টাডি গ্রুপটি। তাদের বক্তব্য, সংক্রমণ মোকাবেলায় অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের ভূমিকা প্রশংসনীয়। প্রথম পর্বে ইতালি ও আমেরিকার ভূমিকা একরকম ছিল। ভারতের তেমন নয়। প্রথম থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জোর দিয়েছে ভারত। কিন্তু সমস্যার জায়গাটা হল, রক্তপরীক্ষার সীমাবদ্ধতা। আসলে যে কতোজন আক্রান্ত, সেই তথ্যটা নেই। সেটাই বিপজ্জনক। অবস্থাটা বদলাতে হলে ভারতকে এদিকে নজর দিতে হবে। কঠোরভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হবে।
১৬ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে গবেষণাপত্রটি। এর মধ্যে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কড়াকড়ি বেড়েছে, মঙ্গলবার মাঝরাত থেকে সারা দেশেই জারি হয়েছে লকডাউন। ভারতে জনসংখ্যা পিছু চিকিত্সা-বন্দোবস্তের সীমাবদ্ধতাও তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য ব্যবহার করে বলা হয়েছে, ভারতে ১০০০ মাথাপিছু হাসপাতালের শয্যার সংখ্যা ০.৭, যেখানে আমেরিকায় সংখ্যাটা ২.৮, ইতালিতে ৩.৪, চীনে ৪.২, ফ্রান্সে ৬.৫, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১১.৫। সূত্র: আজকাল