অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সামান্য উপসর্গ থাকলেই হাসপাতাল বা হোম কোয়ারানটিনে থাকুন। ভারতের ৭০ শতাংশ মানুষ শুধুমাত্র এই উদাসিনতার জন্যই করোনায় আক্রান্ত হন। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রালয়ের তরফে জানানো হল এমনই তথ্য।
মন্ত্রালয়ের তরফে আরও জানানো হয়, আইসিএমআর’র গবেষণা অনুযায়ী, একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি যদি লকডাউন ভেঙে বাইরে বের না হন বা কোয়ারানটিনে না থাকেন, তাহলে ৩০ দিনের মধ্যে ওই ব্যক্তি ৪০৬ মানুষকে আক্রান্ত করতে পারেন।
আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে রয়েছে লকডাউনের সময়সীমা। বিভিন্ন রাজ্যের তরফে অবশ্য সেই সীমা বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও।
ভারতের রাজ্য সরকারগুলিকেও লকডাউন ভাঙা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোয়ারেন্টাইন ম্যানেজমেন্ট, রোগীদের ওপরে নজর রাখা, সন্দেহভাজনের লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, করোনায় সন্দেহভাজনদের চিকিৎসাড় জন্য তিন পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথমটি হল কোভিড কেয়ার সেন্টার। যারা কম সন্দেহজনক তাদের রাখা ব্যবস্থা করা হচ্ছে হোটেল, হস্টেলের মতো জায়গায়। আর সবসময় লকডাউন মেনে চলতে অনুরাধ করা হয়েছে।