করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ ঠেকাতে ফের লকডাউনের পথে নিউ ইয়র্ক

অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে। সেখানকার বেশ কয়েকটি এলাকায় গত কয়েক দিনে বেড়েছে সংক্রমণের হার। যার জেরে ওই শহরের কয়েকটি এলাকায় ফের জারি হয়েছে লকডাউনের বিধি-নিষেধ। রবিবার এই লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল দে ব্লাসিয়ো।

নতুন করে আছড়ে পড়া করোনার ঢেউ রুখতে ২০টি হটস্পট চিহ্নিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সেগুলো মূলত ব্রুকলিন ও কুইনস এলাকায়। এর মধ্যে ৯টি জিপ কোড এলাকায় থাকবে কড়া বিধি-নিষেধ। বাকি এলাকাগুলোর বাসিন্দারা কিছু ব্যাপারে ছাড় পাবে। সাত দিন ধরে নিউ ইয়র্কের ওই ৯টি এলাকায় সংক্রমণের হার ৩ থেকে ৮ শতাংশ। যেখানে গোটা নিউ ইয়র্ক শহরের সংক্রমণের হার মাত্র ১.৫ শতাংশ।

ওই ৯টি এলাকার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ যাতে শহরের বাকি অংশে ছড়িয়ে না পড়ে, যে জন্যই এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। আগামী বুধবার সকাল থেকে কুইনস ও ব্রুকলিনের এলাকাগুলোতে জারি হবে বিধি-নিষেধ। অত্যাবশ্যক পরিষেবা ছাড়া বাকি সব কিছু বন্ধ রাখা হবে সেখানে। সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খোলা থাকবে না ওই এলাকার রেস্তোরাঁও। তবে রেস্তোরাঁ থেকে ডেলিভারি পাবেন সেখানকার বাসিন্দারা। বাকি ১১টি এলাকায় রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকলেও স্কুল বন্ধ রাখা হবে না।

রবিবার বিধি-নিষেধ জারি নিয়ে বিবৃতিতে নিউ ইয়র্কের মেয়র বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আজকের দিনটি উদযাপনের নয়। আজ কঠিন দিন।’ নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘শহরের কিছু এলাকা, বিশেষত কুইনস ও ব্রুকলিনে‌ নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বসন্তেও সমস্যা এত প্রবল ছিল না। তা ঠেকাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ এর পরই ওই সব এলাকায় কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ বলবৎ হবে তা জানিয়েছেন তিনি।

এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর হার নিউ ইয়র্কে। করোনায় মারা গেছে ৩৩ হাজার মানুষ। গেল এক মাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকার পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ।

করোনাভাইরাস যখন প্রথম ছড়াতে শুরু করে আমেরিকায়, সে সময় কেন্দ্রবিন্দু ছিল নিউ ইয়র্ক। হু হু করে সেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী ভাইরাস। এখন অবধি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর সাক্ষী নিউ ইয়র্ক শহর। জন হপকিন্সের তথ্য অনুসারে নিউ ইয়র্ক শহরে এখন অবধি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *