অনলাইন ডেস্ক :
বিভিন্ন রাজ্যের মতো করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও। আগের সব রেকর্ড ভেঙে দৈনিক আক্রান্ত্রে নতুন রেকর্ড গড়েছে এই রাজ্য। বুধবার পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ হাজার ১৩৬ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৩২ জনের। রাজ্যের নিরিখে করোনাকালে যা দৈনিক মৃত্যুর হিসাবে সর্বোচ্চ।
পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায়। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৭৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে শনাক্ত ৩ হাজার ৯৯৮, মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৩২ হাজার ৭৪০ জন। এছাড়া গত একদিনে রাজ্যে করোনা মুক্ত ১৮ হাজার ৯৯৪ জন। রাজ্যে করোনা সুস্থতার শতকরা হার ৮৬ দশমিক ৪২ শতাংশ।
অপরদিকে ভারতের বিহারের বক্সার জেলা এবং উত্তরপ্রদেশের গাজীপুর জেলার গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছিল শত শত শবদেহ। ওইসব শবদেহকে করোনা রোগীদের বলেই এখনও পর্যন্ত অনুমান করা হচ্ছে। তবে তদন্তে তা এখনও প্রমাণ হয়নি। কিন্তু ওই দুই জেলায় গঙ্গায় ভাসতে থাকা শবদেহ মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছে মমতার প্রশাসন।
রাজ্য সরকারে পক্ষ থেকে মালদহ জেলাকে এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ ওই দুই জেলার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা রাজ্যে গঙ্গার এন্ট্রি পয়েন্ট। অন্যান্য যেসব জেলার ওপর দিয়ে গঙ্গা বয়ে গেছে সেসব জেলাকেও সতর্ক করা হয়েছে।
রাজ্য প্রশাসনের পরিকল্পনা গঙ্গায় কোনো মরদেহ ঝাড়খণ্ড জেলা থেকে ভেসে আসছে কিনা তা খুঁজে বের করতে জেলা প্রশাসনকে একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। নৌকা, জাল ও বাঁশ নিয়ে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। মালদহের সব প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে নদীর ধারে কোনো জায়গা খুঁজে রাখতে যাতে সেখানে শবদেহ সমাধিস্ত করা যায়।
মালদহ জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বিহার থেকে গঙ্গায় মরদেহ ভেসে আসতে পারে এই আশঙ্কায় গঙ্গার তীরবর্তী সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নজরদারির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত মালদহের মানিকচক, কালিয়াচক ২ ও ৩ নম্বর ব্লক কর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকার নদীতীরবর্তী স্থানগুলোতে ১০ থেকে ১২টি নৌকার মাধ্যমে নজরদারি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া নদীতে যারা মাছ ধরতে যান এবং নৌকা পারাপার করান তাদেরকে জানানো হয়েছে গঙ্গায় যদি কোনো মরদেহ দেখতে পাওয়া যায় তৎক্ষণাৎ যেন সংলিষ্ট থানা বা ব্লক দফতরে খবর দেওয়া হয়।