অনলাইন ডেস্ক :
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে মহাবিপর্যয় নেমে এসেছে ভারতে। এই ভাইরাসের প্রকোপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশটি।
বর্তমানে দেশটিতে সুনামি গতিতে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনার ভারতীয় ধরন বা ‘ডব্ল মিউট্যান্ট’ স্ট্রেন, যা ভাইরাসটির গত বছরের প্রজাতির তুলনায় অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। এটি ছড়াচ্ছেও অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে। কারণ প্রতিষেধকে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিকেও এই ভাইরাস ফাঁকি দিতে পারছে সহজেই।
তবে ভারত এবং ব্রিটেনের গবেষকেরা জানিয়েছেন, প্রতিষেধক বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কাজ করছে এবং প্রতিষেধক নেওয়া থাকলে করোনার প্রভাব গুরুতর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনার ভারতীয় প্রজাতি ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ৪৪টি দেশে। ১০টি ভারতীয় ল্যাব এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা যৌথভাবে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন, ‘সার্স সিওভি-২ বি.১.৬১৭ — ইমার্জেন্সি অ্যান্ড সেনিসিটিভিটি টু এলিসিটেড অ্যান্টাবডিজ’। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, প্রতিষেধক নেওয়ার পরও এই নতুন প্রজাতির সংস্পর্শে এলে মানুষ সংক্রমিত হতে পারেন। তবে তার প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম হবে।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য অনেকটাই দায়ী এই নতুন প্রজাতি। কারণ কিছু মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এই ভাইরাসটিকে আটকাতে সক্ষম নয়। অ্যান্টিবডিকে সহজেই ফাঁকি দিচ্ছে করোনার ভারতীয় প্রজাতি। তবে এই গবেষণাপত্রে এ-ও উল্লেখ করা রয়েছে, যে প্রতিষেধক বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কার্যকরী। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া