কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় জুয়া খেলা নিয়ে নিহতের ঘটনায় ২ মামলা, গ্রেপ্তার ৮।
কুষ্টিয়া শহরতলি সদর উপজেলার হাটশহরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদহ-কান্তিনগর ভূত মোড়ে শুক্রবার রাতে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে দুজন নিহতের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে নিহত ওমর আলীর মেয়ে জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনের নামসহ আরো ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। অপর পক্ষে নিহত মিরাজ হোসেনের ভাগ্নে রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ জনের নামসহ আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ উভয় পক্ষের আট আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
সূত্র জানায়, দুজন নিহত হওয়ার দুই ঘণ্টা আগে একই স্থানে আরেকবার সংঘর্ষ হয়েছিল। তখন পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গও করে দিয়েছিল।
পুলিশ জানায়, নিহত ওমর আলীকে হত্যা মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন বোয়ালদাহ গ্রামের কান্তিনগর এলাকায় লালন (৪০), লালনের ভাই আনোয়ার (৫০), একই এলাকার আমজাদ বিশ্বাসের ছেলে মশিউর রহমান সবুজ (২৮), সবুজের বড় ভাই জহির রায়হান বাবু (৩৩), মান্নান গাইনীর ছেলে মনিরুল ইসলাম কালু (২৫) এবং ছাবেদ গাইনীর ছেলে জিন্নাহ গাইনী (৫৫)। অন্যদিকে নিহত মিরাজ হোসেন হত্যা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বোয়ালদাহ কান্তিনগর এলাকায় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলার আসর বসত। জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে গত ১৯ মে শুক্রবার দফায় দফায় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাতে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সংবাদ দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে রাত সোয়া ১০টার দিকে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র হাতে একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুই পক্ষের ওমর আলী ও মিরাজ সর্দার নামে দুইজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওমর আলী ও মিরাজ সর্দারকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষের পাঁচজন গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দুপক্ষের ২ জন নিহতের ঘটনায় শনিবার রাতে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুপক্ষেরই ৮ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান কুষ্টিয়ার মডেল থানার এসআই সুফল সরকার।