সজীব কুমার নন্দী : আয়োজক কমিটি জানায়, ছেলে-মেয়েরা এখন আর ধর্মীয় কাহিনী শুনতেও চায় না, পড়তেও চায় না। তাই পৌরাণিক দেব-দেবীকে তাদের সামনে পরিচিত করিয়ে দিতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।
খুলনার ৯টি উপজেলার ডুমুরিয়া সদরের কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি ও মঠ মন্দিরের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ সকলের দৃষ্টি আর্কষণে সক্ষম হয়েছে। এখানে দুর্গোৎসবের প্রচলিত ধ্যান-ধারণার দুর্গা, অসুর, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীর প্রতিমা স্থাপনের বাইরে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ধর্মীয় বিভিন্ন পূরাণিক কাহিনী। আর মঞ্চে আনা হয়েছে নতুননত্ব।
মূলত, এ অঞ্চলের প্রাণের দাবি পদ্মাসেতু বাস্তবায়নের একটি ভিন্ন রূপ ফুটে উঠেছে এখানে। মঞ্চটিতে আনা হয়েছে পদ্মাসেতুর রূপ। তার ওপরে একে একে সাজিয়ে রাখা হয়েছে এখানে স্থাপিত ১২৫টি প্রতিমা।
সেখানকার মন্দিরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে পদ্মাসেতুর আদলে তৈরি অর্ধডিম্বাকৃতির মঞ্চ। সেই মঞ্চের পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্ত থেকে উত্তর দিকে প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে। একেকটি প্রতিমায় একেকটি পূরাণিক কাহিনী ফুটে উঠেছে। প্রতিমাগুলো রং-তুলির আঁচরে হয়ে উঠেছে জীবন্ত।
পদ্মাসেতু মঞ্চটিকেও রং করে আকর্ষণীয় করে তোলার কাজ চলছে। এ মন্দিরের প্রধান আকর্ষণ দুর্গাদেবীর প্রতিমা। সেখানে দুর্গা, অসুর, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী প্রতিমার পাশাপাশি তাদের বাহন সিংহ, মহিষ, ময়ূর, ইঁদুর, পেঁচা, রাজহাঁসও স্থাপন করা হয়েছে।
ডুমুরিয়া কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি মঠ ও মন্দির কমিটির যুগ্ম আহবায়ক তুষার কান্তি দত্ত জানান, কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার পদ্মাসেতুর আদলে মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেই মঞ্চের উপর তারা প্রতিমা স্থাপন করেছেন।
ডুমুরিয়ার এই মন্দিরের প্রতিমা তৈরির কারিগর সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার অনীল কুমার ভাস্কর। তিনি ৫জন সহকারী নিয়ে দিনরাত কাজ করেছেন।
আয়োজক কমিটির সদস্য পরিতোষ কুমার বৈরাগী জানান, ছেলে-মেয়েরা এখন আর ধর্মীয় কাহিনী শুনতেও চায় না, পড়তেও চায় না। তাই পৌরাণিক দেব-দেবীকে তাদের সামনে পরিচিত করিয়ে দিতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, খুলনায় এবার ৯৫০টি স্থানে শারদীয়া দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিজয়া পঞ্চমীর মাধ্যমে এই উৎসব শুরু হয়।