ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: অর্থ পাচার মামলায় ইসলামি বক্তা জাকির নায়েকের ১৬ কোটি ৪০ লাখ রুপির সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গতকাল শনিবার এ রায় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এক বিবৃতিতে ইডি জানিয়েছে, মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে জাকির নায়েকের মুম্বাই ও পুনের সম্পত্তি ক্রোক করার প্রাদেশিক আদেশ জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মে বিশ্বাসীদের অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভারতীয় অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের অধীনে এ নিয়ে তৃতীয় দফায় জাকির নায়েকের মোট ৫০ কোটি ৪৯ লাখ রুপির সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। ফাতিমা হাইটস এবং আফিয়াহ হাইটস নামে পুনের ভন্দুপ এবং এনগ্রাসিয়ায় অজ্ঞাত প্রকল্পের আওতায় এ সম্পদ ছিল বলে জানিয়েছে ইডি।
নিজের বক্তৃতা নিয়ে ২০১৬ সালে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়েন জাকির নায়েক। সে সময় তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও উগ্রপন্থাকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাসহ বন্ধ করে দেওয়া হয় তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (আইআরএফ) ও পিস টিভি।
অভিযোগ ওঠার পর একই বছর ১ জুলাই ভারত ছেড়ে যেতে বাধ্য হন জাকির নায়েক। ভারতে মামলা হওয়ার পর জাকির নায়েক মালয়েশিয়ায় আশ্রয় চাইলে তাকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয় তৎকালীন নাজিব রাজাক সরকার। গত বছর ভারত তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানালে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে সব বিষয় বিবেচনায় নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।