
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসরায়েলকে মুছে ফেলার হুমকি দিয়েছে ইরান। সিরিয়ায় ইরানি বাহিনীর ওপর ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার জবাবেই তেহরান থেকে এমন হুমকি দেওয়া হলো। বিবিসি।
দামেস্কের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইরানের গোয়েন্দা দপ্তর ও সেনাঘাঁটিতে রবিবার বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বোমারু বিমান। ওই হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন সিরীয় নাগরিক। এ পর্যন্ত এটিই সিরিয়ার সবচেয়ে বড় ইসরায়েলি হামলা। এ পরিস্থিতিতে ইরানের সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার নাসিরজাদ বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীর নবীন কর্মকর্তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। তারা ইসরায়েলকে পৃথিবী থেকে মুছে দিতে প্রস্তুত।’
অন্যদিকে ইসরায়েলের অভিযোগ, তাদের দখলে থাকা গোলান হাইটসে রকেট হামলা চালিয়েছে ইরান। তার জবাবেই সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়ায় সক্রিয় রয়েছে ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। ফিলিস্তিনি জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহ ও হামাসের একাধিক শীর্ষ নেতাকে গোপনে হত্যা করেছে গুপ্তচর সংস্থাটি। পাশাপাশি আসাদ বাহিনী এবং ইরানি সেনাদের বিরুদ্ধেও মোসাদের অভিযান চলছে।
এক সময় বিশ্লেষকরা মনে করতেন যে, সিরিয়া বা লেবাননের পরিস্থিতি কেন্দ্র করে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা যতই তীব্র হোক বা বিক্ষিপ্ত আক্রমণের ঘটনা যতই ঘটুক না কেন, একেবারে সরাসরি যুদ্ধ বেধে যাওয়া সেটা হয়তো হবে না। কিন্তু উত্তর ইসরায়েলে কৌশলগত প্রেক্ষাপট বদলাতে শুরু করেছে।
ইসরায়েলের জন্য এ অঞ্চলে ইরানি প্রভাব মোকাবিলা বহু পুরনো এজেন্ডা। ইরানের নেতারা ইহুদি রাষ্ট্রটির ঘোরতর বিরোধী এবং তারা ইসরায়েলকে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কথা বলেছেন। ইসরায়েলবিরোধী অনেক উগ্র গোষ্ঠীকে সমর্থনও দিচ্ছেন। তাদের পরমাণু কর্মসূচিই যে শুধু ইসরায়েলের মাথাব্যথার কারণ তা নয়, ইরানের হাতে আছে দীর্ঘপাল্লার এবং জাহাজ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রের মতো উন্নত অস্ত্রও।