শার্শা প্রাইভেট কার শ্রমিকদের মাঝে “ভোরের পাখি”র খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

ইকরামুল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি : পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনার আগ্রাসন শুরু হয়েছে। অসহায় হয়ে পড়েছে দেশের অধিকাংশ খেটে খাওয়া মানুষ। তার মধ্যে প্রাইভেট কার শ্রমিক অন্যতম। ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শার্শার সামাজিক সংগঠন “ভোরের পাখি” করোনা ভাইরাসের জন্য চলা লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া ২২টি অসহায় প্রাইভেট কার শ্রমিকের হাতে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকালে “ভোরের পাখি”র সভাপতি মেহেদি হাসানের কার্যালয়ে সকল সদস্যের উপস্থিতিতে সংগঠনের সভাপতি উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান এই খাদ্যসামগ্রী তাদের হাতে হস্তান্তর করেন।
সরেজমিন সূত্রে জানা যায়, সংগঠনের প্রতিদিনের ত্রাণসামগ্রী বিতরনের অংশ হিসেবে বাইশটি কর্মহীন অসহায় প্রাইভেট কার শ্রমিকের পরিবারের মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসব খাদ্যসামগ্রীর ভেতর রয়েছে চাল, ডাল, আলু, সাবানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য।
ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে সংগঠনের সভাপতি উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শেখ আফিল উদ্দিন এমপি মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক অসহায়, দুস্থ ও কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অংশ হিসেবে আজ কর্মহীন বাইশটি প্রাইভেট কার শ্রমিকের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, “ভোরের পাখি”র সকল সদস্যরা দেশের এই ক্রান্তিকালে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এবং অসহায় ও কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। দেশের যেকোন সংকটময় মূহুর্তে “ভোরের পাখি”র সদস্যরা এভাবেই এগিয়ে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
প্রাইভেট কার চালক হামীমের কাছে জানতে চাইলে তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, সারাদেশে লকডাউন চালু থাকায় আমাদের প্রাইভেট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে। সংসারে অভাব অনটনে বিপাকে পড়ে গেছে সবাই। এই সংকটময় সময়ে “ভোরের পাখি” আমাদের পাশে এসে দাড়িয়ে আমাদের দুঃখের সাথী হয়েছে। ধন্যবাদ “ভোরের পাখি”র সকল সদস্যকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *