ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে রাস উৎসব । দেশের পত্রিকা

নিউজ ডেস্ক :

 

ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে রাস উৎসব উপলক্ষে জমে উঠছে মেলা। প্রায় পৌনে তিন শ বছর ধরে চলে আসছে এই কান্তজিউ মন্দিরের এ রাস উৎসব ও মেলার আয়োজন। বিকালের পর থেকে লোক সমাগম বাড়তে থাকে। রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলে। এতে কান্তজিউ মন্দিরে ভক্ত ও পূর্ণার্থীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। যুগ যুগ ধরে এই রাসমেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে পূর্ণ তীর্থ ঐতিহ্য বহন করে আসছে।

 

রবিবার সন্ধ্যায় দিনাজপুর রাজদেবোত্তর এস্টেটের আয়োজনে কান্তজিউ মন্দির রাসবেদি চত্বরে ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী। দিনাজপুর রাজ দেবোত্তর এস্টেটের এজেন্ট রনজিৎ কুমার সিংহ’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অবস্) আব্দুল্লাহ আল মাসুম, দিনাজপুর প্রেসক্লাব সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু, হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ দিনাজপুরের সভাপতি সুনীল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক রতন সিং, পূজা উদযাপন পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায় প্রমুখ।

 

পূজা-অর্চনার মধ্যে দিয়ে রবিবার সন্ধ্যা থেকে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী রাসমেলা শুরু হয়েছে। অগ্রহায়ন মাসের পূর্ণিমায় প্রতি বছরের মতো এ বছরও রবিবার দিবাগত পূর্ণিমা রাত্রী ১২টা ১মিনিটে রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ রাজ বেধিতে পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে মেলার সূচনা করা হয়। মেলায় রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহকে এক নজর দেখা এবং পাপ মোচন করে পূণ্যের আশায় বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারও নারী-পুরুষ ও ভক্তবৃন্দের আগমন ঘটে।

 

এই উৎসব ও মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ব্যবসায়ীরা তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। দোকানিরা চুড়ি, ফিতা, কানের দুল, গলার চেইন, টিশার্ট, প্যান্ট, কাগজ ও প্লাস্টিকের ফুল, চশমা, পুতুলসহ হরেক রকমের খেলনা, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেব-দেবীর মূর্তি বা প্রতিমা, পূজার প্রয়োজনীয় শংখ, ঢোল, কাশা, বাঁশি, প্রদীপ, জিলাপি, খুরমা, মণ্ডা-মিঠাই ও মিষ্টান্ন বিক্রি করছেন। মন্দিরের পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণে দোকানের সারি দেখা যাবে। পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন দোকানগুলোতে। এছাড়াও দুটি সার্কাসসহ রয়েছে কাঠের কুয়ার ভিতর মোটরসাইকেলের চক্কর দেয়া আগতদের বিনোদন দিচ্ছে। পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা বেশ উপভোগ করছেন মেলা আয়োজন।

 

এদিকে সব ধরনের নিরাপত্তায় মেলাসহ মন্দিরকে ঘিরে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন কাজ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *