কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মো. সিরাজুল ইসলাম (৫০) নামে এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কয়া গ্রামের কারিগরপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। সিরাজুল ইসলাম পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি ছিলেন।
স্বজনদের অভিযোগ সুদের টাকা না পেয়ে পশ্চিম কয়া গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে বিপুল হোসেন ও পিকলু হোসেন সিরাজুলের বসতভিটা দখল করে রবিবার সকালে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ায় সকালে তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে সুদের ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে নিহত ব্যক্তির মেয়ে লাবনী খাতুন বলেন, আমার বাবা সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে বিপুল ও পিকলুর কাছ থেকে সুদে দুই বছরের জন্য এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে। মাস ছয়েক যেতে না যেতেই সুদে ব্যবসায়ীরা টাকা পরিশোধের চাপ সৃষ্টি করে। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় গত শনিবার বিকেলে বিপুল ও পিকলু লোকজন নিয়ে এসে আমাদের ছোট ঘরটি ভেঙে দেয়। আর রবিবার সকালে নতুন ঘরের খুঁটি পুতা শুরু করে। সে সময় আমার বাবা বাঁধা দিলে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে সুদে ব্যবসায়ীরা।তার ভাষ্য, বাড়িতে শুধু তার মা আর বাবা থাকেন। ঘটনার সময় তার মা আত্মীয় বাড়িতে ছিলেন।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত বিপুল হোসেন। তার ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত পিকলু হোসেন ফোনে বলেন, তারা কোনো সুদের ব্যবসা করে না। বায়নানামা করে জমি কিনে ঘর করছিল। তারা কাউকে হত্যা করেনি। তার ভাষ্য, তার ভাই বিপুল একটি এনজিওর ব্যবসা পরিচালনা করে।
কুমারখালী থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে একজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার পূর্বক সুরতহাল করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে।